• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

কম হচ্ছে নিবন্ধন, সংখ্যা কমেছে টিকাগ্রহীতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১ সংবাদটির পাঠক ২ জন

 

জাহিন খান : শুরুর দিকে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন ও দৈনিক টিকাগ্রহীতার সংখ্যা কম ছিল। টিকাদান শুরুর দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ওই সময় দৈনিক নিবন্ধনও হচ্ছিল আড়াই লাখের কাছাকাছি। কিন্তু ছয় দিন ধরে দেশে করোনার টিকাগ্রহীতার সংখ্যা কম। টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধনও কম হচ্ছে।
ছয়টি জেলার সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে এখনো কিছুটা নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। যাঁদের টিকা নিয়ে উৎসাহ ছিল তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যে নিবন্ধন করে টিকা নিয়েছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোকজন টিকার নিবন্ধন করছেন কম।

করোনার টিকা নিচ্ছেন লোকজন

করোনার টিকা নিচ্ছেন লোকজন

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল এনবি নিউজকে বলেন, টিকা নিয়ে যাঁদের মধ্যে ভয় রয়েছে তাঁদের অনেকে এখনো পরিস্থিতি আরেকটু দেখতে চাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত যাঁরা টিকে নিয়েছেন তাঁরা মূলত শহরকেন্দ্রিক। গ্রামের লোকজনের কাছে এখনো পৌঁছানো যায়নি। শহরের বস্তিবাসীও টিকার আওতায় আসতে পারেনি। তিনি মনে করেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মাধ্যমে জনগণকে টিকা নেওয়ার বার্তা দিতে হবে।

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৫২ জন করোনার টিকা নেন। এ সময় টিকা পাওয়ার জন্য দৈনিক নিবন্ধন করেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৬ জন। টিকাদান শুরুর দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক টিকাগ্রহীতা ও নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।

১৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক গড়ে টিকা নেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৭ জন। এ সময় টিকা পাওয়ার জন্য দৈনিক গড়ে নিবন্ধন করেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৫ জন। দেশে এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন মোট ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ জন করোনার টিকা নেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত টিকাগ্রহীতা ও নিবন্ধন—দুটিই কমতে শুরু করেছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত দিনে গড়ে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৬ জন। এই সময় দৈনিক গড়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৮২০ জন। গত ৯ ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে কম টিকা নিয়েছেন গতকাল। সারা দেশে গতকাল ১ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে ১ হাজারের বেশি হাসপাতালে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ হাসপাতালে একাধিক বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুথে দিনে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। কোনো হাসপাতালে এক দিনে কতজনের টিকা দেওয়া হবে, সেটি নির্ভর করে বুথের সংখ্যার ওপর।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শিশু হাসপাতালে টিকা নেন ১ হাজার ৩৫২ জন। গতকাল সেখানে টিকা নিয়েছেন ৩৮৫ জন। হাসপাতালের এপিডেমিওলজিস্ট ও টিকা কার্যক্রমের ফোকাল পারসন কিঙ্কর ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, মাঝে কয়েক দিন টিকাগ্রহীতার চাপ বেশি ছিল। এখন মোটামুটি চাপ থাকছে। যাঁরা এই হাসপাতালে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করছেন, তাঁরা দ্রুতই টিকা গ্রহণের তারিখ পেয়ে যাচ্ছেন।
দেশে গতকাল পর্যন্ত ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৮২৫ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। আর টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৪৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৯২ জন। টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৫৪ জনের মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে প্রথম ধাপে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি—এই তিন জেলায় ১২ হাজার করে টিকা পাঠানো হয়। পরে বাড়তি চাহিদার কারণে তিন জেলাতেই কমবেশি ১৫ হাজার করে টিকা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে অতিরিক্ত টিকা সংগ্রহ করে সেখানে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জেলা পর্যায়ে টিকা পাঠানোর কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) লাইন ডিরেক্টর শামসুল হক এনবি নিউজকে বলেন, ওই তিন জেলা চাহিদা কম দিয়েছিল। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সেখানে টিকা পৌঁছে যাবে।

তবে রাঙামাটি জেলার সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা এবং খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নূপুর কান্তি দাশ এনবি নিউজকে বলেন, তাঁরা কোনো চাহিদা পাঠাননি। কেন্দ্র থেকে ১২ হাজার করে টিকা তাঁদের জেলায় পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা থেকে টিকা সংগ্রহ করে কার্যক্রম চালু রেখেছেন। নতুন ধাপের টিকা শিগগিরই পৌঁছাবে বলে তাঁদের জানানো হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    শনিবার, ১১ মে, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ৩:১৯ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৬:৩২ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৭:৫৪ অপরাহ্ণ