• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

বাংলাদেশকে স্পষ্ট জানালো ভারত আপাতত টিকা নয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৫ জুন, ২০২১ সংবাদটির পাঠক ০ জন

এনবি নিউজ : বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ভারতের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম দফার টিকা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন পরবর্তী ডোজের জন্য। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ পৌঁছানোর সময় পেরিয়ে গেছে আড়াই-তিন মাস। এ অবস্থায় গতকাল নয়াদিল্লি বাংলাদেশকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে কোনোভাবেই অন্য কোনো দেশকে কভিডের প্রতিষেধক পাঠাতে পারবে না ভারত। বরং তারা এখন আমদানির জন্যই ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, প্রতিষেধক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বাইরের দেশগুলোতে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে ছিল। কিন্তু আমরা এখন বাইরে থেকে সরবরাহ (প্রতিষেধক) আমদানিকেই নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষেধক রপ্তানি করার প্রশ্ন ওঠাটাই ঠিক নয়। আমরা এখন ঘরোয়া প্রতিষেধক তৈরির কর্মসূচিকেই মূল লক্ষ্যবস্তু করেছি।’

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, খুবই প্রাঞ্জল করে মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রতিষেধক রপ্তানির প্রশ্নই কেন উঠছে না। তার কারণ দেশে যেভাবে টিকাকরণ করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল তার ধারেকাছে দিয়েও যেতে পারেনি মোদি সরকার। কিন্তু সেই সঙ্গে এই বিতর্কও উঠছে যে, কেন্দ্র নিজে থেকেই বারবার বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর নীতির কথা বলে। এপ্রিলের গোড়ায়, অর্থাৎ ভারতে কভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাইসিনা সংলাপে জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের যেটুকু সম্পদ তা গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াতেই বিশ্বাস করে তার সরকার। তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্মিত হলেও টিকা রপ্তানির বিষয়টিকে প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।

অন্যদিকে বাংলাদেশের বক্তব্য, ভারতের এহেন আশ্বাসেই অন্য কোনো দেশের দিকে তাকানো হয়নি। এমনকি প্রাথমিকভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল চীনকেও। ঢাকা সূত্রের বক্তব্য, ‘উপায়ন্তর না দেখে সেই এখন চীনেরই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। যদিও আমরা এখনো জানি না, যারা ভারতের কাছ থেকে প্রথম ডোজ নিয়ে বসে রয়েছেন তাদের এখন প্রটোকল কী হবে?’ বাংলাদেশ সূত্রে অবশ্য এ কথাও জানা যাচ্ছে, পররাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বেশ কিছুদিন আগেই ঘরোয়াভাবে ঢাকাকে সতর্ক করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যেন তাদের নাগরিকদের জন্য প্রতিষেধকের বিকল্প ব্যবস্থা করতে শুরু করে। কারণ, অন্য দেশকে দেওয়ার মতো বাড়তি টিকা ভারতের হাতে নেই।
এ টি


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৩:৫০ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ৩:১৭ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৮:০০ অপরাহ্ণ